শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার উপজেলার বাসুদেবপাড়া গ্রামের যুবককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তের জেরধরে গত রোববার বাদির পরিবারের দুইজনকে কুপিয়ে জখম করেছে মামলার এজাহারভূক্ত আসামিরা। আহতদের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর অবনতি ঘটলে রোববার রাতে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার ১৫ জনকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানান, জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে গৌরনদী উপজেলার উপজেলার বাসুদেবপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সোবাহান সরদারের পুত্র সালেক সরদার সঙ্গে একই গ্রামের কামরুল প্যাদার দীর্গ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে গত জানুয়ারি মাসে কামরুল প্যাদা তার সমর্থকদের নিয়ে হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষ সালেক সরদারকে কুপিয়ে জখম করে। জখমের ঘটনায় সালেক প্যাদা বাদি হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক মোঃ মাহাবুবুর রহমান গত রোববার বিকেলে মামলাটি তদন্তের জন্য সরেজমিনে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তার সামেনে উভয়ের মধ্যে বাকবিতান্ডার ঘটনা ঘটে।
সালেক সরদার অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা মামলা তদন্ত করে চলে যাওয়ার পর বিকেলে ৫টার দিকে প্রতিপক্ষ কামরুল প্যাদা, আকবর প্যাদা, তোফাজ্জেল প্যাদা, নজরুল প্যাদার নেতৃত্বে ১০/১৫ জন দেশীয় অ¯্রে সজ্জিত হয়ে আমার বসত বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করে আমাকে খুজতে থাকে। আমি বাড়িতে না থাকায় আমার বড় ভাই আলমগীর সরদার ঘর থেকে বের হয়ে গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বড় ভাই আলমগীর সরদারকে (৩৫) কুপিয়ে জখম করে। তাকে রক্ষায় তার স্ত্রী বিউটি আক্তার (২৮) এগিয়ে আসলে তাকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে রোববার রাতে দুই জনকেই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে কামরুল প্যাদা গংরা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় গতকাল সোমবার আহতের ভাই জাহাঙ্গীর সরদার বাদি হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply